নতুন আইফোন এসই নিয়ে হতাশ গ্রাহক
- আহমেদ ইফতেখার
- ১২ মার্চ ২০২২, ০১:০১
নতুন এসইতে থাকছে ফাইভ-জি সংযোগ সুবিধা এবং নিজস্ব এ১৫ বায়োনিক চিপ। আইফোন এসইর ২০২২ সংস্করণের পর্দার আকার ৪.৭ ইঞ্চি। পেছনের প্যানেলে আছে ১.৮ অ্যাপারচারের ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। কিন্তু যারা সাশ্রয়ী আইফোনের প্রত্যাশা করেছিলেন, তারা বেশ আশাহত হয়েছেন। কারণ ৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টের আইফোন এসই ক্রয়ে গুনতে হবে ৪২৯ ডলার। এ ছাড়া ১২৮ জিবি ও ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম পড়ছে যথাক্রমে ৪৭৯ ও ৫৭৯ ডলার।
২০২০ সালে বাজারে আসা আইফোন এসই ছিল অ্যাপলের সবচেয়ে সাশ্রয়ী আইফোন। ৩৯৯ ডলারে আইফোন ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিল অ্যাপল ভক্তরা।
যদিও ক্যামেরা রেজল্যুশন আর স্ক্রিনের আকার কম্প্যাক্ট মনে হলেও প্রসেসর আর সফটওয়্যারভিত্তিক অগ্রগতির কারণে নতুন আইফোন এসইকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর চিপের পাশাপাশি নতুন এসইতে আছে ডিপ ফিউশন ও এইচডিআর ৪ ফিচার। ‘নয়েজ’ কমিয়ে হাই কনট্রাস্ট ছবি তোলা সহজ করে তোলে আইফোন ১৩-এর ফিচার দু’টি।
এ ছাড়া এই ১৫ বায়োনিক চিপের সুবাদে নতুন এসইর ব্যাটারি আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল, আগের সংস্করণের তুলনায় এটি আকারেও বড়। আইফোন এসইর আগের সংস্করণের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো এর ব্যাটারিকেই। অ্যাপল বলছে, সম্পূর্ণ চার্জ করা অবস্থায় একটানা ১৫ ঘণ্টা ভিডিও দেখা যাবে নতুন এসইতে, ভিডিও স্ট্রিম দেখা যাবে টানা ১০ ঘণ্টা আর গান শোনা যাবে টানা ৫০ ঘণ্টা। এ সব ক’টি ফিচারের বেলাতেই আগের সংস্করণের চেয়ে অনেকখানি এগিয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের এসই। ডিভাইসটির আগের সংস্করণটিতে ভিডিও দেখা যেত একটানা ১৩ ঘণ্টা, ভিডিও স্ট্রিম দেখা যেত আট ঘণ্টা, আর গান শোনা যেত ৪০ ঘণ্টা। ব্যাটারি সক্ষমতা বাড়লেও ফোনটির ওজন থাকছে ১৪৪ গ্রাম। আগের ফোনটির ওজন যেখানে ছিল ১৪৮ গ্রাম।
আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ফোন আনলক করার জন্য নতুন এসইতে আছে টাচ আইডি সেন্সর। আর ডিভাইসের সামনের ও পেছনের গ্লাসকে স্মার্টফোনের বেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী গ্লাস বলে আখ্যা দিয়েছে অ্যাপল। ম্যাগসেইফ ফিচার না থাকলে ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা আছে এতে। গতকাল থেকে ডিভাইসটির প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু করেছে অ্যাপল। বাজারে ডিভাইসটির আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হবে ১৮ মার্চ।
অ্যাপল পিক পারফরম্যান্স আয়োজনে আইফোন ছাড়া নতুন যে পণ্যগুলোর ঘোষণা দিয়েছে, তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে যাচ্ছে। নতুন আইপ্যাড এয়ারে যোগ হয়েছে অ্যাপলের এম১ চিপ; যদিও কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই আইপ্যাড এয়ারে এম১ চিপের উপস্থিতির গুরুত্বকে ছাপিয়ে গেছে এম১ চিপের নতুন সংস্করণ, ‘এম১ আলট্রা’। অ্যাপল নতুন আইপ্যাড এয়ারের দাম ৫৯৯ ডলার।
পিক পারফরম্যান্স আয়োজনে অ্যাপল নতুন যা কিছু দেখিয়েছে, তার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ম্যাক কম্পিউটারের নতুন সংস্করণ ‘ম্যাক স্টুডিও’ আর এম১ চিপের নতুন সংস্করণ এম১ আলট্রা। আর এম১ চিপের নতুন সংস্করণটির অভিষেক হচ্ছে ম্যাক স্টুডিওর মাধ্যমে। ম্যাক মিনির সাথে তুলনা করলে, উচ্চতার হিসেবে দ্বিগুণ নতুন ম্যাক স্টুডিও। অ্যাপল বলছে, ম্যাক প্রোর থেকেও ভালো পারফরম্যান্স দেবে ম্যাক স্টুডিও। মূলত পেশাদারি কাজে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়েই কম্পিউটারটি বানিয়েছে অ্যাপল।
ম্যাক স্টুডিওর পরিপূরক ডিভাইস হিসেবে নতুন ‘অ্যাপল স্টুডিও ডিসপ্লে’ উপস্থাপন করেছে অ্যাপল। সিনেট বলছে, ২৭ ইঞ্চির ৫কে রেটিনা ডিসপ্লেটির প্রোফাইল অনেকটাই ২৪ ইঞ্চির আইম্যাকের মতো। ডিসপ্লেটিতে এ১৩ বায়োনিক চিপ রেখেছে অ্যাপল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা